শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে তুফান তুলেছে। দিন দিন প্রলয়ঙ্করী রূপ নিচ্ছে। মধ্যরাতেও চলছে শো। এ ছবিতে সালাহউদ্দিন লাভলুর চরিত্রটি যেন ছোটগল্পের মতো। এক ঝলকে শেষ হলেও রেশ থেকে গেছে। সামাজিক মাধ্যমে হয়েছে রীতিমতো ভাইরাল।
এ নির্মাতা ও অভিনেতা কখনও ভাবেননি তার এক ঝলকের উপস্থিতি এতটা আলো ছড়াবে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘সেরকম কখনও ভাবিনি। ছোট্ট একটি চরিত্র। চেষ্টা করেছি আমার মতো করে করতে। কিন্তু ভাবিনি সবাই এভাবে লুফে নেবেন।’এত ছোট চরিত্রে সালাহউদ্দিন লাভলুকে দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি অবাক হয়েছেন অনেকে। কেননা তার মতো অভিনেতা এক ঝলকের জন্য পর্দায় হবেন ভাবতে পারেননি অনেকে। কেউ খুজেছেন কারণ। বিষয়টি খোলাসা করলেন সালাহউদ্দিন লাভলু।
তিনি বলেন, ‘আমি তো নিয়মিত অভিনেতা না। কাজটি মূলত রায়হান রাফীর প্রতি ভালোবাসা থেকে করেছি। তার সবগুলো ছবিই হিট হয়। সে কারণে ওর কাজের সাথে থাকতে চেয়েছি। অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছি। যেহেতু বাইরে শুটিং হচ্ছে ওখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি প্রযুক্তির ব্যবহার এ সমস্ত বিষয়ে ধারণা নেয়ারও ইচ্ছা ছিল। এ সমস্ত কারণেই কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।’
কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা— জানতে চাইলে বলেন, ‘খুবই ভালো। ওখানকার টেকনিশিয়ানরা খুবই প্রফেশনাল। আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো মিলিয়ে খুব ভালো ছিল অভিজ্ঞতা। আমাদের বাংলাদেশের ছবি করতে গেলে তো এভাবে করতে পারি না।’ এ সময় শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ নির্মাতা ও অভিনেতা বলেন, ‘শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। তার সম্পর্কে কে কী বলে জানি না। তবে আমার মনে হয়েছে সে এত ভদ্র, তাছাড়া সিনিয়রদের সম্মান দেওয়া, নিজের কাজের প্রতি ডেডিকেশন—এসব সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না। সে কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। কিন্তু খুব ঠান্ডা থাকে। কোনোরকম উচ্চবাচ্চ্য নেই। সব মিলিয়ে বলব সে বাংলাদেশের এত বড় সুপারস্টার কিন্তু আচরণ এত ভালো যা না দেখলে বোঝার উপায় নেই। আমি এক দিন ছিলাম। আমার সঙ্গে যতটুকু সময় সে দিয়েছে এবং ওই সময়ে যত ভালো ভালো আলোচনা হয়েছে সেসব মনে রাখার মত। শিল্পীদের এমনই হওয়া উচিত।’
এদিকে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমার পরিচালক মো. ইকবালের দাবি সালাহউদ্দিন লাভলুসহ অন্যরা শুধুমাত্র অর্থের লোভে তুয়াফন সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে নিজেদের যুক্ত করেছেন। তবে বিষয়টি প্রত্যাখান করে গুণী এ নির্মাতা ও অভিনেতা বলেন, ‘না না, সেরকম কিছু না। উনি (মো. ইকবাল) কি বলেছেন আমি দেখিনি, শুনিওনি। কাজটা একেবারেই ব্যক্তিগত ভালোলাগা থেকে করেছি। রাফির কাজের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি, দেখতে চেয়েছ্ অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছি এই আর কী।’
নব্বই দশকের গ্যাংস্টারের গল্প দেখা গেছে ‘তুফান’-এ। এতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন টলিউডের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা। সালাহউদ্দিন লাভলু ছাড়াও দেখা গেছে মিশা সওদাগর, গাজী রাকায়েত, সুমন আনোয়ার, ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরীসহ আরও অনেককে।
দেশের দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই ও চরকির সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করবে কলকাতার এসভিএফ। ‘তুফান’ পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী।