করোনা পরিস্থিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলমান ঋণের ক্ষেত্রে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের অনাদায়ি ঋণের সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ছয় কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। আর তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। তবে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে আগের প্রজ্ঞাপন বহাল থাকবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে ঋণ শ্রেণীকরণ ও মেয়াদি ঋণের কিস্তি আদায় বিষয়ে আগের প্রজ্ঞাপনগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলা এবং ব্যাংকিং গতিধারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চলমান ও তলবি প্রকৃতির ঋণ পরিশোধের জন্য গতকালের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তলবি ঋণের টাকা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তিতে পরিশোধিত হলে ঐ ঋণ বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। অর্থাত্ ঐ ঋণখেলাপি হিসেবে দেখানো যাবে না। এছাড়া চলমান ঋণের বকেয়া কিস্তি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে। তলবি ঋণের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে আরোপিত সুদ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে গ্রাহকের নেওয়া ঋণ বা বিনিয়োগ ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বহির্বিশ্বেও নেতিবাচক প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনায় সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণগ্রহীতাদের চাপ কমাতে গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের ওপর বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে গত এক বছর কিস্তি না দিলেও কোনো গ্রাহক খেলাপি হননি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ছাড় তুলে নেওয়া হয়।