শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে বাস উঠতে গিয়ে এক নম্বর পন্টুন ভেঙে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যানবাহনের তীব্র জট তৈরি হয়েছে এবং যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ পারের অপেক্ষায় আছে অন্তত ৫’শ যানবাহন। শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল মোমেন দৈনিক ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নরসিংহপুর ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জোয়ারের পানিতে সংযোগ সড়ক ও র্যাম্প তলিয়ে যাওয়ায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে ১ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার। তার উপর মেঘনার তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে দীর্ঘ সময় একটি মাত্র ঘাট ব্যবহার করে ধীর গতিতে যানবাহন পারাপার করায় সড়ক জুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। ফেরি ঘাট থেকে খায়েরপট্টি ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কে আটকা পরেছে ৭ শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী, চালক ও ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রামের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের জন্য ২০০০ সালে শরীয়তপুরের–চাঁদপুর নৌরুট চালু হয়।
শরীয়তপুর -চাঁদপুর, নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির শুরু থেকেই নরসিংহপুর ফেরি ঘাটের পন্টুনের র্যাম্প ও সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। অস্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানে ইট ও বালু দিয়ে র্যাম্পটি উঁচু করা হয়েছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। জোয়ারের সময় পানির নিচে তলিয়ে যায় পন্টুনের এই অংশটুকু। সড়ক উঁচু করে পুনরায় নতুন পন্টুন স্থাপন করা হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘাটে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মনে হয় আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।