যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পাওয়া ১২টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চলতি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা নিয়ে তিনি বলেন, শর্ত পূরণ না করলে একটাও হবে না। আর ১২টা করলে ১২টাই হবে। করতে হবে তো হবেই। এখানে ডিসকাউন্ট নেই। শতভাগ শর্তই পূরণ করতে হবে।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১২ দলের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া দলগুলো
এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।
এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আমাদের টার্গেট জুনের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা। কোনো কারণে আপত্তি শুনানিতে দেরি হলে এটা জুলাইতে যেতে পারে।
এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, মাঠ কর্মকর্তাদের দলীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে তথ্য পাঠাতে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। হয়তো আসতে আরও দু’এক দিন সময় লাগবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে ১২টি দলের তথ্যই কমিশন পেয়েছে। কিন্তু জেলার তথ্য পুরোপুরি পাইনি। কোনোটা ৭০ শতাংশ, কোনোটার ৫০ শতাংশ, কোনোটার ৪০ শতাংশ এসেছে। আর উপজেলার তথ্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এসেছে। আগামী তিন-চার দিন পর যথাযথ তথ্যটা আমরা বলতে পারব কী পেয়েছি।
এ সময় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়ার কথা জানান কমিশনার। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের তথ্য আর ইসির কাছে জমা দেওয়া কাগজপত্র মিলিয়ে দেখা হবে। পরে কমিটি প্রতিবেদন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবেন। এরপর প্রাথমিক তালিকা আপত্তির জন্য প্রকাশ করা হবে। যে কেউ আপত্তি দিতে পারবে। আপত্তি এলে শুনানি হবে। না এলে শুনানি হবে না। এরপর চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।
দলের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কোটা নেই বলেও জানান মো. আলমগীর।
শতভাগ শর্ত পূরণ করলে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞাপন দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারো কোনো আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জানান। তখন আপত্তি জানালে শুনানি হবে। আমরা আবার যাচাই করব। অভিযোগ সঠিক না হলে পাবে। আর সঠিক হলে পাবে না। আর শর্ত পূরণ না করলে একটাও হবে না।