দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে সমাবেশ করায় শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি। শওকত মাহমুদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। বুধবার (৬ এপ্রিল) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চায় দল। এ বিষয়ে শওকত মাহমদু বলেন, ব্যাখ্যা তলব করে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এজন্য পাঁচ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে। আমি যেহেতু দল করি, তাই এই বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই চিঠির লিখিত জবাব দেব।
গত ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির’ দাবিতে ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে। এই সমাবেশে লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীও ছিলেন।
এই নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১ এপ্রিল বিএনপি সমর্থক সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক বৈঠকে তাকে বহিষ্কার করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুপারিশ করা হয়।এর আগে, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরের বছরের ১৩ ডিসেম্বর ‘সরকারের পতনের’ লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও জমায়েত করা হয়। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।