তিনি বলেছেন, ‘আপনি (২৫ ফেব্রুয়ারি) শক্ত হাতে আপনার সরকারকে পরিচালনা করুন। কেউ যেন আপনাকে বলতে না পারে যে আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। সেটা শুনতে চাই না, কারণ আপনি একজন বিখ্যাত মানুষ। সারা বিশ্বে আপনার নাম রয়েছে। সেটার মর্যাদা রাখবেন এটাই আশা করছি।’
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার যতটুকু প্রয়োজন সেটুকু শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবেন। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা শান্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধি আনবেন এটাই প্রত্যাশা করি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিডিআর এমন একটি সংগঠন ছিল যারা অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতেন। বাংলাদেশের সীমান্তকে রক্ষা করার কাজটি তারা করেছেন। সেটাই ছিল তাদের কাজ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই অত্যন্ত পরিকল্পনার সঙ্গে বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকস সেনাবাহিনীকে তারা হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিন দুইদিনে তাদের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ তৈরি হয়নি। সেই ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি শেখ মুজিবের প্রতি ঘৃণা জন্ম হয়েছে। কারণ তারা কোনদিনই বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা শপথ নেই, যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করব। আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব। আমরা সংগ্রাম করেছি লড়াই করেছি আরো লড়াই করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ বক্তব্য দেন।