অনেকসময় কিছু লোকাল সমস্যার কারণে জিনিসপত্রে দাম বাড়ে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে যেমন কাঁচা মরিচের দামে বেড়েছে বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সেই জন্য। এগুলো লোকাল বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয় কিন্তু আমরা টোটাল মনিটরিং করি। আন্তর্জাতিক মার্কেটের সাথে আমাদের দাম ঠিক থাকে।
রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ও জাপানের পরবর্তী ৫০ বছরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক: বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, আমরা যেকোনো জিনিস ইমপোর্ট করি ওয়ার্ল্ড মার্কেটের প্রাইসের উপর নির্ভর করে আমাদের ট্যারিফ কমিশন প্রাইজ ফিক্সডআপ করে। এই প্রাইজ আমরা বাজারে যখন ডিক্লিয়ার করি তখন হয়তো একদিন সময় লাগে। যেমন আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে তেলের দাম কয়েকদিন আগে ১০ টাকা কমিয়ে দিয়েছি। সেটা এখন কমতে শুরু করেছে। যেকোনো পণ্যের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যায় সেটা আমাদের দেশে যে ট্যারিফ কমিশন বসে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে কি হওয়া উচিৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আইটেম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখভাল করে থাকে। যেমন চাল খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখভাল করে থাকে। বিভিন্ন আইটেম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখে। তবে মজুতদারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন পাশ হয়েছে সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতারাতি সব করে ফেলা সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের সেই লোকবল নেই। ভোক্তা অধিকারে যে পরিমাণ লোকবল দরকার আমরা সেটাও এখনও ব্যবস্থা করতে পারিনি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, কীভাবে আমরা ব্যবসায় আরও বেশি ইনভেস্টমেন্ট পেতে পারি, কীভাবে আগামী ৫০ বছর তারা (জাপান) আমাদের সঙ্গে এক সাথে কাজ করতে পারে। জাপানের আমাদের সঙ্গে একটা লং হিস্ট্রি আছে। ৩৫ বছর ধরে তারা আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার। অনেক বড় প্রোজেক্টে তাদের ইনভেস্টমেন্ট আছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীতেও তারা অনেক বড় প্রোজেক্টে ইনভেস্ট করতে চাই। তারা বাংলাদেশে আসতে চায় এবং বাংলাদেশের এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনেও তারা আকৃষ্ট হচ্ছে। কীভাবে তারা আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার হবে, আমাদের সঙ্গে তাদের একটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আরও হবে।