অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও খুব সাদামাটা জীবন যাপন করতেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। চলাফেরা করতেন খুব সাধারণভাবে। অনেক অনুষ্ঠানে তিনি লুঙ্গি পরেই যোগ দিতেন। এমন কি বড় ভিআইপির অনুষ্ঠানেও তাকে লুঙ্গি পরে যোগ দিতে দেখা গেছে। প্রেসক্লাবের অনেক অনুষ্ঠানে তিনি লুঙ্গি পরে বক্তৃতা করতেন।
গত বছরের ২৫ জুন দেশের সব থেকে বড় আয়োজন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনও তাকে লুঙ্গি পরে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। ওইদিন সকালে তিনি লুঙ্গি পরে হুইল চেয়ারে করে মাওয়াপ্রান্তে সমাবেশস্থলে হাজির হন। যেখানে তার পাশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ অনেক ভিআইপি গেস্ট বসা ছিলেন। এছাড়াও রাজপথে অনেক মিছিলেও তিনি লুঙ্গি পরে অংশগ্রহণ করেন।
সাংবাদিকদের সাথে এক আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে তিনি সাধারণ বেশভূষায় চলতে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘একসময় লন্ডনে থাকা অবস্থায় সেখানকার রাজ পরিবারের প্রিন্স চার্লস যে টেইলারে স্যুট সেলাই করতেন, তার স্যুটও সেখানকার দর্জি সেলাই করে দিত। এসে তার জামার মাপ নিয়ে যেত।’
এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানের দামি গাড়ির অভাব ছিল না। তারপরেও তিনি একটি ভাঙা পুরনো মডেলের গাড়িতেই চলাফেরা করেছেন সবসময়। নতুন কোনো গাড়িতে দেখা যায়নি তাকে চলাফেরা করতে।
উল্লেখ্য, ৮২ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বহু বছর ধরে। কয়েক দিন আগে তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এ অবস্থায় তাকে গত বু ধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতে নিজের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে থেকেই বিদায় নিলেন তিনি।