শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আজ উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা লালমনিরহাটের জন্য চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাপমাত্রার এই নিম্নমুখী অবস্থানের কারণে গোটা উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। প্রবল শীতে কাঁপছে এ অঞ্চলের জনপদ।
সপ্তাহজুড়ে লালমনিরহাটে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ৭ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওঠানামা করছে। উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা কমেছে। অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। এতে জেলার দরিদ্র, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতর সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে কুয়াশা বাড়লেও তাপমাত্রার এই পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে কষ্টে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষজনের শীতবস্ত্রের অভাবে ভোগান্তি বেড়েছে। অনেকে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাতেও দুর্ভোগ কমছে না। ইতোমধ্যে শীতে কষ্টে পড়া মানুষ আগুন পোহাতে গিয়ে জেলায় দু’জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানিয়েছেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পাঁচ হাজার কম্বল জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া সংসদ সদস্যদের বরাবর এক হাজার করে মোট তিন হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জেলা পরিষদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকেও শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে।