দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসের যতটুক পুড়েছে সেটা আমেরিকার সরবরাহ করা বোমায় ধ্বংস হওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অর্ধেক। গাজা উপত্যকার আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলিমিটার। আর লস অ্যাঞ্জেলেসে পুড়ে যাওয়া জায়াগার পরিমাণ ১৬০ বর্গকিলোমিটারের বেশি।
সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যালিস্যাডেস এলাকায় ২৩ হাজার একরের বেশি জায়গা পুড়েছে দাবানলে। ইটন এলাকার আগুন দ্বিতীয় বৃহত্তম। এখানে ১৪ হাজার একরেরও বেশি পুড়ে গেছে। অন্যদিকে হার্স্টের আগুন ৭৯৯ একরে বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানলটি মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হওয়ার পথে রয়েছে। আগুনে ইতোমধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দাবানলের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। আগামী এক দুই দিনের মধ্যেই এই হাওয়া বইতে পারে। এতে আগুন বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। এ অবস্থায় ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস একটি বিরল ‘বিশেষ করে বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ সতর্কতা জারি করেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানল এত ভয়াবহ রূপ নেওয়ার জন্য সান্তা অ্যানাস নামের ঝোড়ো বাতাসকে দায়ী করা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাত থেকে এই বাতাসের গতি কিছুটা কমে আসায় দাবানল পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু মরু অঞ্চল থেকে আসা এই বাতাসের গতি আবার বাড়তে শুরু করেছে এবং আগামী কয়েক দিনে এটি আরও শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।
শেরিফ লুনা বিবিসিকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে এখন ১৪ হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী দাবানল নেভাতে কাজ করছেন। ব্যবহৃত হচ্ছে ৮৪টি বিমান এবং ১ হাজার ৩৫৪টি ফায়ার ইঞ্জিন।
গত সপ্তাহ থেকে ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস।