ভাগ্যের জোরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন আমেরিকার এক যুবক! শুধু কি তাই? সম্পত্তির নিরিখে শিল্পপতি রতন টাটাকেও টপকে গেলেন তিনি। সাধারণ থেকে হয়ে গেলেন অসাধারণ! মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে পেয়ে গেলেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। একেই বোধহয় বলে কপাল!
লটারি তো অনেকেই কাটেন। কিন্তু কয়জনের মুখেই বা হাসি ফোটে! ভাগ্যের এ খেলায় যারা জেতেন, তারাই তো হয়ে ওঠেন ‘বাজিগর’। আমেরিকার যুবক অ্যাডউইন ক্যাস্ত্রোও তাদের মধ্যে হয়ে উঠেছেন একজন।
গত নভেম্বরে লটারির টিকিট কিনেছিলেন ক্যাস্ত্রো। আর সেই লটারির জোরে রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে তার। পেয়ে গেছেন জ্যাকপট। করেছেন লটারিতে বাজিমাত। তার লটারিতে জেতা অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার।
জ্যাকপটের অঙ্কটা জানলে চমকে উঠতে হয়! তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিদের টক্কর দিয়েছেন এ যুবক। সম্পদের মোট অর্থের নিরিখে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি রতন টাটাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটার মোট ব্যক্তিগত সম্পত্তির অঙ্ক প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। আর ক্যাস্ত্রোর লটারিতে জেতা অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর এ টাকার পরিমাণের জন্য ক্যাস্ত্রোকে ঘিরেই শুরু হয়েছে হইচই।
তবে লটারির পুরস্কারমূল্যের পুরো টাকা হাতে পাননি ক্যাস্ত্রো। কর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে তার হাতে এসেছে ৯৯ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার। ভাবা যায়!
একসঙ্গে এত টাকা! স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। লটারি জয়ের উত্তেজনা সামলে এ টাকা কীভাবে খরচ করবেন, সে নিয়ে পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
জ্যাকপট মেলার পর ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। সেই বাড়িটির দাম শুনলেও চমকে যাবেন।
যে এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছেন ক্যাস্ত্রো, সেটি অভিজাত এলাকা। ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড হিলস এলাকায় বাড়ি কিনেছেন তিনি। হলিউডের অধিকাংশ তারকার বাড়ি ওই এলাকাতেই রয়েছে।
ওই বিলাসবহুল বাড়িটির দাম ৩ কোটি ডলার। তবে এতে ৫০ লাখ ডলার ছাড় পেয়েছেন তিনি। শেষে আড়াই কোটি ডলারে কিনেছেন বাড়িটি।
১৩ হাজার ৫৭৮ বর্গফুটের ওই বাড়িটি এ মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ক্যাস্ত্রোর নতুন বাড়িতে রয়েছে সব ধরনের আয়োজন। রয়েছে জিম, মুভি থিয়েটার, সুইমিং পুল। এছাড়াও রয়েছে বিশাল বড় গ্যারাজ। যেখানে একসঙ্গে কমপক্ষে ৭টি গাড়ি রাখা যাবে।
অনেকেই লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। যদিও এর সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে খুবই কম। তবে ক্যাস্ত্রোর মতো বোধহয় এমন জ্যাকপট জেতার খবর সচরাচর পাওয়া যায় না। আর সে কারণেই বাড়তি নজর কেড়েছেন আমেরিকান এ যুবক।