লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করে জারি করা গেজেট ও উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা আবেদন এবার আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে ২১ জুন ওই আসনে উপনির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) খারিজ ও নো অর্ডার দেয়। এর আগে হাইকোর্ট বিভাগ এসব আবেদন খারিজ করেছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে বিএনপি নেতার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ৮ জুন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ পাপুলের পক্ষে করা রিট খারিজ করে দেয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরুতে মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই মামলায় তিনি কুয়েতে গ্রেপ্তার হন।
গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালত পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একটি গেজেট জারি করেন।
ওই গেজেটে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
এরপর গত ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ওই আসনে উপনির্বাচনের জন্য ১১ এপ্রিল দিন ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে পরে ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়। এটি চ্যালেঞ্জ করে পাপুলের বোন নুরুন্নাহার বেগম ও তার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন।