গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস, শ্যালক জহির উদ্দিন, স্ত্রীর বড় বোন আকলিমা বেগম, স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার। গতকাল শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব তাদেরক গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, হত্যার ঘটনার কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না। ঘটনার পর থেকেই তাহমিনা পলাতক ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাব পাঁচজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদেরকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত কাশেম কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের আবু ছায়েদ মোল্লার ছেলে ও পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। প্রায় ৩ মাস আগে চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের তাছলিমাকে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিজবাড়ির উদ্দেশ্যে তিনি শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টার দিকে স্ত্রী তাছলিমা তাকে মোবাইলফোনে কল দিয়েও পাননি। মোবাইলফোনটি বন্ধ ছিল।
পরদিন সকাল সোয়া ৭টার দিকে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে কাশেমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাছলিমার বাবা আক্কাস মোবাইলফোনে বিষয়টি কাশেমের বাবাকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক-মুখে রক্ত লেগে ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছায়েদ বাদী হয়ে কমলনগর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। অবশেষে নিহত কাশেমের স্ত্রী-শ্বশুরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।