রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির গণসমাবেশস্থলে নিরাপত্তা জোরদারে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল চলছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে র্যাবের মিডিয়া ইন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। র্যাব ছাড়ারও বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিয়মিত সদস্য, আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানীজুড়ে যেকোনো সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
এদিকে, কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের মূল মঞ্চে প্রথম শ্রেণির ২টি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। যার একটিতে খালেদা জিয়া ও অপরটিতে তারেক রহমানের নেমপ্লেট রাখা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চে একে একে কেন্দ্রীয় নেতারা আসা শুরু করেন। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল হাসান শ্রাবণসহ আরও অনেকে মঞ্চে অবস্থান করছেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এছাড়া ভোর থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ। দেখা যায়, নানা রঙের টি-শার্ট-ক্যাপ পরে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসছেন নেতা-কর্মীরা। গোলাপবাগ মাঠে একপ্রান্তে মঞ্চ তৈরির কাজও শেষ। নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক নেতাকে মঞ্চে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের এখনো সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
এদিকে, শুক্রবার বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাতেই প্রায় ভরে যায় গোলাপবাগ মাঠ। শনিবার ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। ইতোমধ্যে বিএনপি কর্মীদের উপস্থিতি মাঠ ছাড়িয়ে নেমেছে সড়কে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।