বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে ইমদাদ এক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন।
এর পরের ঘটনা তুলে ধরে তিনি জানান, সেখানে নামার পর তিনি একটি সিএনজি ডাকেন। এরপর যেখান থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল সেখানে ছুটে যান। দেখতে পান সেখানেই দাঁড়িয়ে আছেন সেই বাইকার। তার কাছে পৌঁছালে বাইকার জানান, তিনি ভয় পেয়ে দ্রুত বিষয়টি ট্রিপল নাইনকে জানান। কল পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশের একজন সদস্য ছুটে আসলে তিনি তার সঙ্গে কথা বলেন।
ইমদাদ হোসাইন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি এ ঘটনার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তবে তিনি এ বিষয়টি রাতেই তার আমার দেশ পত্রিকার সংশ্লিষ্টদের বলে জানান।
ভুক্তভোগী ও সেই বাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আট থেকে দশজন ছিল। একটি সাদা হাইস মাইক্রোবাসে এসেছিল। মাত্র দশ সেকেন্ডের মধ্যে ইমদাদকে তুলে নেয় সেই লোকজন। তারা তাকে গোল্ড পাচারকারী হিসেবেই মনে করে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু পরে সাংবাদিক পরিচয় পেলে ভড়কে যায়। এক পর্যায়ে আজমপুর এলাকায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
ইমদাদকে নিয়ে আসা সেই বাইকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি সেই ভদ্রলোককে নিয়ে কচুক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলাম। ঠিক রাত সোয়া একটার দিকে কাওলা থেকে আমরা কেবল রওনা হয়েছিল। কিছুদূর যেতেই দেখি একটি সাদা রঙের হাইস গাড়ি আমার মোটরসাইকেল চাপ দিচ্ছে। ফলে আমি আর সামনে এগুতে পারলাম না। মোটরসাইকেলটা থামতেই সাদা মাইক্রোবাসটি থেকে আট দশজন নেমে আসলো। সেই ভদ্রলোককে কিছু না বলেই তারা তাকে তুলে নিলো এবং আমার চাবিসহ নিয়ে নিলো। তাকে তুলে নেওয়ার সময় তাদের একজন বলছিল, ওরেও তুলে নে। তখন আমি বলছি, ভাই আমার কাছে কিছু নাই। ওনারে আট থেকে দশজন তুলে নিয়েছে মাত্র দশ সেকেন্ডের মধ্যে। তারে তুলে নিয়ে তারা আজমপুরে গিয়েছিল।
বাইকার আরও বলেন, তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরপরিই আমি ট্রিপল নাইনে কল দেই। তারা আমাকে অনেক দেরিতে সাহায্য করেছে কিন্তু অনেক দেরিতে। যা দুঃখজনক। এরপর কল পেয়ে থানা পুলিশ অনেক দেরিতে আসছে। এরইমধ্যে ওই ব্যক্তিও চলে আসছিল। পরে নজরুল নামে একজন পুলিশ সদস্যও আসে। তিনি আমাদের বলছে, এমন ঘটনা প্রায় ঘটে।
সবার গায়ে র্যাবের কটি, গাড়ির নম্বর প্লেট ঢেকে রাখা হয়েছিল
সেই বাইকার জানান, যারা ইমদাদকে তুলে নিয়েছিল তাদের সবার গায়ে র্যাব লেখা কটি পরা ছিল। আর তাদের গাড়িটি ছিল সাদা রঙয়ের হাইস। পুরোপুরি নতুন গাড়ি মনে হয়েছে তার। তবে গাড়ির নম্বর প্লেটটি ঢেকে রাখছিল, যেন বোঝা না যায়। ফলে শেষের দুই জিজিট বুঝতে পারেননি তিনি।
থানা পুলিশ ও র্যাব যা জানাল
এ বিমানবন্দর থানার এসআই নজরুলের সঙ্গে ঢাকা মেইলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, একজন সাংবাদিক ও বাইকারে সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল। যারা তাকে তুলে নিয়েছিল তারা র্যাব নয়। এমন একটি চক্র আছে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে রাত থেকে কাজ করছি।
এ বিষয়ে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুনিফ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।