র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কীভাবে প্রত্যাহার হবে দেশটি তার একটা ইঙ্গিত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, তবে তা এখনও সরকারের কাছে অফিসিয়ালি পৌঁছায়নি। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়েও আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।
রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে মঙ্গলবার রাতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের গতিবিধি সবসময় নজরদারি করা হয়। র্যাবকে আমরা সংস্কার করে আধুনিক সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখি। সংস্থাটি যেন জনগণের সঙ্গে কাজ করতে পারে এগুলো আমরা লক্ষ্য রাখছি।’
র্যাবের ওপর দেওয়া তার দেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দুটি বিষয়ে নিশ্চয়তার কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূত পিটার ডি হাস। সেগুলো হলো সংস্থাটিতে মানবাধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার ডিক্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন দূত বলেছেন, র্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হলে মানবাধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটো বিষয় নিশ্চিত হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা যাবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা কীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করবে তার একটা ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে তা আমাদের কাছে অফিসিয়ালি এখনো পৌঁছায়নি, সেজন্য মন্তব্য করারও সময় হয়নি। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়েও আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, তাই না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের সরকার সব সময় নির্বাচনমুখী। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় সে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। আমরা সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা করব। নির্বাচনের আগে নির্বাচনের মাঠ গরম করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল থাকে। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন খুব ভালো নির্বাচন হবে।’
পুরান ঢাকার গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছোট শিল্প যারা তৈরি করেন তারা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে যাচ্ছেন। তাদের কেমিক্যাল রাখার গোডাউন সিরাজদীখানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছি। তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির তারা সেখানে স্থানান্তরিত হবেন।’