প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ ভিজিএফ এর প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালালো রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লাইলি বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান জিয়া। সোমবার (১০ মে) বিকালের দিকে রৌমারী সিজি জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে টাকা বিতরণ কালে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে টাকা না পাওয়া দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভুক্তভোগীদের সান্ত্বনা দেন এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের টাকা দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের নাম তালিকায় থাকলেও তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও টাকা বিতরণকালে ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাশেম দায়িত্বে থাকলেও ওই মহিলা মেম্বারের স্বামী ভিন্ন কৌশলে নাম বিহীন তার পরিচিত ব্যক্তিদের টাকা দেওয়া হয়। অপর দিকে অন্য ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতেও নাম থাকা সত্যতেও জনপ্রতি ৪৫০ টাকা না পাওয়ায় কান্নাকাটি করে বাড়ি ফিরে যান।
ভুক্তভোগী নতুনবন্দর গ্রামের রপিয়া খাতুন বলেন, তালিকায় আমার নাম থাকলেও সকাল থেকে বসে ছিলাম, কিন্তু টাকা পাইনি। ব্যাপারী পাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী জানান, তালিকায় আমার স্বামীর নাম আছে। ভোটার আইডি কার্ডসহ সিরিয়াল নম্বর নিয়ে গেলে ওই জিয়া আমাকে বলে তোমার টাকা নিয়ে গেছে। এব্যাপারে রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, মহিলা মেম্বারের স্বামী গতকালকেও টাকা বিতরণ করেছে এবং দ্বিতীয় দিনেও টাকা বিতরণ করা অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। তার কাছে ঠিক কত টাকা আছে আমার জানা নেই। তবে টাকাগুলো ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জেনেছি এবং চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে তার কাছ থেকে টাকা ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তালিকায় নাম থাকা কেউ বাদ পড়লে তাদেরকে টাকা দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি সত্যতা যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।