সাতবার সময় বাড়িয়েও এবছর হজযাত্রী নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ায় আবারও সুযোগ বাড়াল ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগামী রোববার (০৯ এপ্রিল) পর্যন্ত হজের নিবন্ধন করা যাবে। যদিও গতকাল বুধবার নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ করেছিল মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সার্ভার সচল রাখবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ রোববার পর্যন্ত হজে যেতে নিবন্ধন করা যাবে।
মতিউল ইসলাম বলেন, বুধবার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও আগামী রোববার পর্যন্ত সার্ভার খোলা রাখা হবে। এরপর আমরা হজযাত্রী নিবন্ধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
সেক্ষেত্রে নিবন্ধনের সময় বাড়লো এমনটা বলা যায় কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’হ্যা সেটা বলতে পারেন। রোববার পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।’
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৯৬ জন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে এক লাখ ৯ হাজার ২০২ জন নিবন্ধন করেছেন।
অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, এখনো কোটার ৮ হাজার ফাঁকা থাকলেও সরকারি-বেসরকারি তিন হাজারের বেশি হজ গাইডকে সৌদি আরব পাঠাতে হবে। তাদের জন্য কিছু কোটা সংরক্ষণ করা আছে। ফলে সব মিলিয়ে ৪ হাজার কোটা ফাঁকা থাকতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এই হিসেবে কোটা পূরণ হতে আরও ৮ হাজার জনকে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় এরপর সাত দফা সময় বাড়িয়েও নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ হবে। খরচ কমানোর পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা লাগবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করলেও তা কমায়নি সরকার।