আগামী রোববার (৪ জুলাই) থেকে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট শুরু হতে যাচ্ছে। এবারের ডিজিটাল হাটে শুধু ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রোববার (৪ জুলাই) থেকে ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট শুরু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রসহ অনেকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ই-ক্যাব সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। ডব্লিওটিও সেল’র মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় ডিজিটাল কোরবানি পশু হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্লটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানি হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে এটুআই’র অনলাইন প্লাটফর্ম একশপ।
ই-ক্যাব জানায়, নির্দেশনায় জড়িত পক্ষসমূহের দায়দায়িত্ব এবং পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এতে পশু বিক্রির কী কী নিয়ম মানতে হবে, কী কী তথ্য থাকতে হবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএ’র অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে পারবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে জুম অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, এই হাট যেহেতু ঈদকেন্দ্রীক এবং এবার করোনা মহামারির প্রকোপও বেড়েছে- তাই আমরা চাই ক্রেতারা অনলাইন থেকে নিরাপদে পশু ক্রয় করুক। আমরা গতবার প্রান্তিক চাষিদের যুক্ত করলেও এবার যাচাইবাছাই করা কঠিন হবে। আমরা শুধু ভেরিফাইড বিক্রেতাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি।
সভায় ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা সরকারের এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নিয়ে ডিজিটাল হাট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে এবার আমরা ক্রেতা-বিক্রেতার সংযোগ ঘটিয়ে দেবো। যাতে তারা আস্থার সাথে কেনাকাটা করতে পারে। ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তা দিতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তার সাময়িক স্ক্রো (ESCROW) সেবা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আতিকুল ইসলাম, ডব্লিওটিও সেল’র মহাপরিচালক হাফিজুর রহমানসহ ডিএনসিসি, ই-ক্যাব ও বিডিএফএ’র ঊর্ধ্বতনেরা।