রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে একেবারেই পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ লিজেন্ড দল। অধিনায়ক শচীন টেন্ডুলকারের দলের বিপক্ষে ১০ উইকেটে পরাজয় মোহাম্মদ রফিকদের। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করা দলটি। বাইশ গজে ঝড় তোলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তার ১৭ বলে ৪২ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।
এদিন রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ন সিং স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। আগের ম্যাচের সফল ব্যাটসম্যান নাজিমউদ্দিন এই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে ১২ রানে আউট হন তিনি। খানিক পরে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার জাবেদ ওমর। তিনি করেন ৫ রান। তিনে ব্যাট করতে নামা নাফিস ইকবাল ৮, রাজিন সালেহ ৫ রান করে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন খালেদ মাসুদ পাইলট। হান্নান সরকার ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে ষষ্ঠ উকেটে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে। তবে ইনিংসের ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু বল পাইলটের ব্যাট ছুঁয়ে পায়ে লেগেছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজেই আম্পায়ারকে জানান পিটারসেন। পরে জায়ান্ট স্ক্রিনের রিপ্লে দেখে মাঠের বাইরে যেতে থাকা পাইলটকে ক্রিজে ফিরিয়ে আনেন তিনি।
পাইটলের ৩১ রানের সঙ্গে মুশফিকের ২৬ বলে অপরাজিত ৩০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১১৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল।
১১৪ রানের সহজ লক্ষ্যকে আরও সহজ বানিয়ে ছাড়েন পিটারসেন। ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়ে দেওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান যে অবসর না নিলে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাইশ গজ শাসন করতেন, তারই বার্তা দিয়ে গেলেন তিনি। ফিল মুস্টাডের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন পিটারসেন। রফিকের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ১৭ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী একটি ইনিংস উপহার দেন তিনি।
মুস্টাদের ২৭ ও ড্যারেন মাড্যির অপরাজিত ৩২ রানের কল্যাণে ৩৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ রফিক ২টি ও আলমগির কবির ১টি উইকেট নেন।