দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপিনেতা হুমায়ুন কবির।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন হলে ভালো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগে ঈদের দিন ভাষণে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আজকের বৈঠকে তিনি বলেছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সভার শুরুর আগে সকালে হোটেলের সভা কক্ষের সামনে তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে নির্ধারিত সভা কক্ষে দুজনের মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। তারেক রহমান তাঁর সঙ্গে থাকা দুই প্রতিনিধিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এর পরই তারেক রহমান বলেন, আম্মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টাও বলেন, উনাকে (খালেদা জিয়া) আমার সালাম জানাবেন।
উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনার সৃষ্টি করে। অনেকেই মনে করছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে এই সাক্ষাত বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আশা করছে, আলোচনাটি চলমান রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচন সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়গুলো সমাধানে সহায়ক হবে।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
লন্ডন হাইকমিশনে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তারেক রহমান বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। অন্যদিকে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তাদের মধ্যে বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন, জুলাই সনদসহ যেকোনো বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে সেটি দুজনই ঠিক করবেন।