নোয়াখালী শহরের মাইজদীতে রোগী সেজে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ সময় কোনো সনদ ছাড়া রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় ওই চিকিৎসককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা শহরের জহুরুল হক গ্যারেজের পাশে জাহান কটেজে এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক মাইন উদ্দিন সবুজ (৪০) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।
জানা যায়, নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জহুরুল হক গ্যারেজের পাশে জাহান কটেজের নিচতলায় বাসা ভাড়া নিয়ে চেম্বার করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা মাইন উদ্দিন সবুজ। নিজের নামের পাশে বিভিন্ন ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে প্যাড বানান তিনি। যা ব্যবহার করে নিয়মিত ব্যবস্থাপত্র ও অপারেশন করতেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে পূর্বে সিরিয়াল দিয়ে ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ নিজেই রোগী সেজে সেখানে হাজির হন। এ সময় তিনি সবুজের কাছে তার সনদপত্র দেখতে চান। কিন্তু সবুজ সনদ দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোগী সেজে সকালে সিরিয়াল দিয়েছি। যখন চেম্বারে যাই তখন ডাক্তার ভেতরে আছেন বলে আমাকে জানায়। আমি সনদ চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। মূলত তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। তিনি স্বীকার করেন ৩-৪ বছর ধরে এভাবে চিকিৎসক হিসেবে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুয়া চিকিৎসক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা শহরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এরা মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। মানুষ এদের কাছে এসে প্রতারিত হচ্ছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী সার্জন ডা. ফাত্তাহেল আলীম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র দেসহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।