স্ত্রীর ফোনে রেলের ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের ঘটনায় অবশেষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বিব্রতবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। রবিবার (৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে যেটা করেছে সেটা ঠিক করেনি। এতে আমি বিব্রত।
রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে রেলভ্রমণে তিনজনকে জরিমানা করায় বরখাস্ত হন টিটিই শফিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সমালোচনার মধ্যেই বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীরা নিজের আত্মীয় নন বলে বলে গতকাল জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আর টিটিই বরখাস্ত হয়েছেন সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণেই।
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর তিন যাত্রীর পরিচয় জানা যায়। তারা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আক্তার মনির আত্মীয়। ট্রেনযাত্রীরা হলেন- শাম্মি আক্তার মনির দুই মামাতো ভাই ওমর ফারুক ও হাসান আলী এবং অপরজন প্রতিবেশী ইমরুল কায়েস প্রান্ত। ওমর ফারুক পাবনার ঈশ্বরদীর শহরের নুর মহল্লার মৃত আব্দুর রহমান ও হাসান আলী একই এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। আর প্রান্ত ঈশ্বরদীর ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকার কবির আহমেদের ছেলে। প্রান্তর মা ইয়াসমিন আক্তার নিপা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আক্তার মনির মামাতো বোন।
রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ওই তিনজন আমার আত্মীয়; এটা এখন ঠিক, যেটা আমিও এখন শুনেছি। এর আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না, এরা কারা এবং আমার জানার কথাও না। মাত্র ৯ মাস হলো আমার বিয়ে হয়েছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ভুলভ্রান্তি হলে মানুষ তো সেভাবেই দেখবে। আমার কোনো ইনভলভমেন্ট এখানে ছিল না। বলা হচ্ছে যে মন্ত্রীর কারণে এমনটা ঘটছে। আমার যদি কিছু করার থাকত তাহলে তো সরাসরিই করতে পারতাম। কারও সাহায্যের তো দরকার হবে না। মেসেজটা যেভাবে গেছে সেটা সঠিক না।’
স্ত্রীর ফোনে টিটিই বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি শুনেছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা যেভাবে শুনেছেন, বিষয়টি আমিও সেভাবে শুনেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে এই জরিমানার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় ডিসিও না