রেমিট্যান্স-রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন। এতদিন যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। আর রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন এ সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
ব্যাংকাররা জানান, অনেক দিন ধরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ডলার রেট এক করার চেষ্টা চলছিল। এখন থেকে এটা কার্যকর হবে। আগামীকাল থেকে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ডলার রেটে কোনো পার্থক্য থাকবে না। প্রতি ডলারের রেট হবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এতে করে রপ্তানিকারকরা আরও উৎসাহিত হবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলারের দাম ছিল ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা।