ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। সেই মুহূর্তে একটি শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। যিনি নিজেও একজন সাবেক রেফারি।
আজ এসোসিয়েশনে সন্ধ্যায় চলমান লিগের রেফারিং করা রেফারিদের নিয়ে কয়েক ঘণ্টা সভা করেন বীর বাহাদুর। কয়েক ঘণ্টার সভায় রেফারিদের দাবিদাওয়া অভিযোগ সবই শুনেছেন মনোযোগ দিয়ে। তিনি বিষয়টি বাফুফের রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করবেন।
রেফারিদের সম্মানী ও বকেয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছেন এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুর, ‘রেফারিদের বকেয়া দ্রুততম সময়ে পরিশোধ এবং সম্মানীর বৃদ্ধির বিষয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে আমি আলোচনা করব।’
এক দিকে তিনি ফেডারেশনে রেফারিদের দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াই করবেন অন্য দিকে রেফারিদের বাঁশি বাজানোতে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রেফারিদের ধর্মঘট সাময়িক যে স্থগিত ছিল সেটা আজকের সভার পর প্রত্যাহার হচ্ছে।
রেফারিদের বকেয়া আদায়, সম্মানী বৃদ্ধি সহ আরো একটি দাবি ছিল হেড অফ রেফারিজ আজাদ রহমানের পদত্যাগ। এই বিষয়টিও তিনি আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। সবাই মিলে ফুটবল পরিবার, সেই পরিবারে সবাইকে নিয়ে শান্তি বজায় রাখার কথা বলেছেন বীর বাহাদুর। সভাপতির এই মন্তব্যের পর আজাদ রহমানের পদত্যাগের অবস্থান থেকেও অনেকটা নমনীয় হয়েছেন রেফারিরা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন রেফারিদের বকেয়া ও সম্মানীর হার নিয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্য নিয়েও ছিল ক্ষোভ। এই বিষয়টিও প্রশমিত করেছেন এসোসিয়েশনের সভাপতি।