রেফারিং সংকট চলমান মৌসুমে কাটছেই না। মাস তিনেক আগে এক বার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন রেফারিরা। বাংলাদেশ রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুরের অনুরোধে রেফারিরা সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিলেন। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রেফারিদের দাবি দাওয়া মানার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
রেফারিরা ম্যাচ ফি ৫ হাজার টাকা ও আরও কিছু বিষয় তুলে ধরেছিল। রেফারিরা ৩০ মে’র মধ্যে ফেডারেশনকে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছিল। সেই সময়সীমা পার হওয়ায় রেফারিরা বেশ অসন্তুষ্ট। দুই মাসের বেশি সময় গেলেও রেফারিদের দাবি দাওয়া নিয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি। রেফারিদের ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পর ফেডারেশন থেকে পুনরায় রেফারিদের সঙ্গে বসতে চাওয়া হয়েছে। এতে অবশ্য রাজি নন রেফারিরা।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে আজ দুটি ম্যাচ রয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় রেফারিরা ম্যাচ পরিচালনা করতে অনীহা অনেকের বলে জানা গেছে। রেফারিজ কমিটি ও রেফারিজ বিভাগের কারও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ বরাদ্দকৃত রেফারিরাই রেফারিং করবেন না বিকল্প রেফারি খুঁজবে রেফারিজ বিভাগ সেটা সময় হলেই স্পষ্ট হওয়া যাবে৷
এক রেফারি বলেন, মৌসুম প্রায় শেষের দিকে কিন্তু এখনেও আমাদের দাবি দাওয়া পূরণ হয়নি। ম্যাচ ফি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না হলেও তিন মাস আগের ধর্মঘটের পর কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে ফেডারেশন। বাফুফে রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুরের রেফারিং বিষয় নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল। দুই জনের ব্যস্ততায় সেটি অবশ্য হয়নি। এ সংকট এখন কিভাবে সামাল দেন তারা সেটাই দেখার বিষয়।