নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও ২১ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর থেকে এসব মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার। এর আগে গত ৪ আগস্ট অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
জীবন কান্তি সরকার জানান, গত বুধবার আমরা ২৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছিলাম। আজ আরও ২১ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের হাতে ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে।
যে ২১ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে- মাহমুদা আক্তার- কিশোরগঞ্জ, মোছা. সান্তা মনি-নেত্রকোনা, মাহবুবুর রহমান-রাজশাহী, জিহাদ রানা- জামালপুর, রহিমা আক্তার- কিশোরগঞ্জ, মিনা খাতুন- কিশোরগঞ্জ, মো. নোমান- ভোলা, আমেনা আক্তার কিশোরগঞ্জ, মোছা. রাবেয়া আক্তার- কিশোরগঞ্জ, মো. রহিমা- কিশোরগঞ্জ, মো. আকাশ মিয়া- নোয়াখালী, নাজমুল হোসেন- কিশোরগঞ্জ, কম্পা রানী বর্মন- মৌলভীবাজার, স্বপন মিয়া- নীলফামারী, শেফালী রাণি সরকার- হবিগঞ্জ, আমৃতা বেগম- হবিগঞ্জ, মো. শামীম- ভোলা, মোছা. সেলিনা আক্তার- কিশোরগঞ্জ, মোছা. তাসলিমা আক্তার- কিশোরগঞ্জ, মোছা. ফাকিমা- কিশোরগঞ্জ ও মো. হাসনাইন- ভোলা।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের হাসেম ফুডস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুড়ে মারা যান ৪৮ জন। ৯ জুলাই রাতে তাদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। ১০ জুলাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
ওই মামলায় পুলিশ সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম, হাসীব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, সিইও শাহেন শান আজাদ, উপ-মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
তাদের চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে ১৪ জুলাই চেয়ারম্যান হাসেমসহ দুই ছেলে তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম আদালত থেকে জামিন পান। আর বাকি ছয় জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।