টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে জাতীয় দলের নির্বাচকরা বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তামিমকে বিবেচনা করতে পারেননি । কিন্তু দল ঘোষণার দিন পাওয়া গেল ভিন্ন আরেকটি খবর। সেটি হলো, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল না তামিমের নাম। রিয়াদ চেয়েছেন নাইম শেখ, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে নিয়েই বিশ্বকাপে যেতে।
যে কারণে অধিনায়কের পছন্দ বুঝতে পেরে দল থেকে বাদ পড়ার আগে সরে গিয়েছেন তামিম। এ খবর চাউর হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা- তবে কি জাতীয় দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে?
এরই প্রেক্ষিতে কথা বললেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তামিম ও রিয়াদের মধ্যে কোনো প্রকার ঝামেলা বা দ্বন্দ্ব নেই। তাই এ বিষয়ে আলোচনার পক্ষপাতী নন বিসিবি প্রধান। এছাড়া জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরাও কোনো সমস্যা খুঁজে পাননি।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর পাপন বলেছেন, ‘প্রথম কথা হলো, ওয়ানডে অধিনায়কের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। আপনারা তামিমের সঙ্গে রিয়াদের সমস্যার কথার বলছেন বা আছে কিনা? এখন জৈব সুরক্ষা বলয় চলছে। (তাই আমার) দলের সঙ্গে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’ ‘তারপরও আমি যতটুকু দেখেছি, আমি কোনো সমস্যা দেখিনি। আমি জালাল (ইউনুস) ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি, যিনি গিয়েছিলেন দলের সঙ্গে, আমি ববি ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি। তারা কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করার কারণই আমি দেখছি না।’
পাপন এসময় আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন । তাহলো খবর ছড়িয়েছে তামিম যে বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু আদতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাপনের ভাষ্য, ‘তামিমকে আমি অ্যাপ্রোচ করেছি, ও যেন ওর সিদ্ধান্ত রিভিউ করে বা ফেরত আসে- এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। তামিম এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবকিছু আমার সঙ্গে আলাপ করে নিয়েছে। ও যেখানে যা করেছে, আমার সঙ্গে আলাপ করেই নিয়েছে। সেখানে তাকে আমি আবার কীভাবে বলব সিদ্ধান্তটা রিভিউ করতে! আমি তো সম্মতি দিয়েছি তাকে।