বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিসংক্রান্ত মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ফিলিপাইনের আপিল আদালত তার সাজা বহাল রাখেন। খবর সিএনএন ফিলিপাইনের।
প্রকাশিত ৫৮ পৃষ্ঠার রায়ে আপিল আদালত মায়া সান্তোসের সাজা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন।
ফিলিপাইনের আপিল আদালত মায়া সান্তোসের দাবি খারিজ করে বলেন, মায়া সান্তোস আরসিবিসির নিছক কর্মী ছিলেন না। তিনি যে হিসাব খুলেছিলেন, তার কারণেই পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছিল।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে ঢুকে সাইবার অপরাধীরা নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। পরে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের মাকাতি শাখার মাধ্যমে তা ক্যাসিনো ও বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যায়।
র্থপাচারের এ ঘটনায় আরসিবিসির মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন মায়া সান্তোস দেগুইতো। এ ঘটনায় দেগুইতোর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনা হয় এবং ২০১৯ সালে ফিলিপাইনের একটি আদালত প্রতিটি অভিযোগে তাকে ৪ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
একইসঙ্গে তাকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়। মায়া দেগুইতো এই অবৈধ ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার বিচারিক আদালতের সাজা আপিল আদালত বহাল রেখেছেন।
বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, মায়া দেগুইতো এই অবৈধ ব্যাংক লেনদেন সহজে বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আপিলে মায়া সান্তোস বলেছিলেন, বিচারিক আদালত তাকে যে শাস্তি দিয়েছিলেন, সেই রায় দেওয়া হয়েছিল তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে। এছাড়া সে লেনদেন অবৈধ জেনেও তিনি হতে দিয়েছেন, এই কথা ‘অনুমান’ প্রসূত বলেও আপিল আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন মায়া।