বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনার আট বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও এখনো সেই আলোচিত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে মামলার তদন্ত রয়েছে শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে তদন্তের চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এটা আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। সম্ভবত আমরা দুই এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে আমরা চার্জশিট দিয়ে দেব।
সিআইডি প্রধান বলেন, আসলে সমসাময়িক অনেক বিষয় আছে, আমরা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি। আমরা মাদক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোপূর্বে মাদক ব্যবহারকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতাম। আমরা এখন স্পেশাল ডাইমেনশন আকারে গডফাদারদের নিয়ে আসছি এবং মাদক গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত যত প্রোপার্টি আছে সেগুলোকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কোনটা ফ্রিজ করেছি, আবার কোনটা সিজ করেছি।
গত এক বছরে কি পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা এক্সাক্টলি আমাদের কাছে ওইভাবে তথ্য নেই। এটা তো বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরিং করে। আমরা বলতে পারব মানি লন্ডারিং রিলেটেড এম এফ এস রিলেটেড যেসব মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর ডাটা আমাদের কাছে আছে। অনেক মামলা হয়েছে, আমরা অনেক রিকভারিও করেছি। এই রিলেটেড তাদের একাউন্ট সম্পত্তি যা আছে এগুলো আমরা ফ্রিজ করেছি।