রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধারে অগ্রগতি নিয়ে ফিলিপাইনে গেছেন বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি দেশটিতে আলোচনা ও চলমান মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে অগ্রগতি বিষয়ে দেশটির আইন বিভাগ, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক অংশ নেবেন তারা।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও দেশটির উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন।
এর আগে শনিবার ফিলিপাইনে যাওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসিসহ বিএফআইইউ ও সিআইডির আরও দুজন করে চার কর্মকর্তা। সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। দলটি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করবে। আলোচনা ছাড়াও ফিলিপাইনের মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের সম্পত্তি ক্রোকের এক মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ফিলিপাইনের আরসিবিসিসহ ৬ বিবাদীর মোশন টু ডিসমিস বা মামলা না চালানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এ রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চলায় কোনো বাধা থাকলো না। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট কোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরসিবিসিসহ অন্যদের সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। চুরি যাওয়া ওই অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। আর ফিলিপাইনে নেওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের কিম অং দেড় কোটি ডলার ফেরত দিলেও ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার হয়নি। সে অর্থ উদ্বারে চেষ্টা চলমান রয়েছে।