রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে মাত্র ১১ জনের। তবে দলটির শীর্ষ কোনো নেতার রিমান্ড চাওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সিএমএম আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আ. ছালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীরর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৯ জনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে।
বাকি ১১ জনের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। যাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন- শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, সারোয়ার হোসেন শেখ, সাইদুল ইকবাল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, আল-আমিন, সাইফুল, শুভ ফরাজি ও মাহমুদ হাসান রনি। বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় রিজভীসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ সময় আইনজীবীদের মিছিল থেকে একজন বিএনপি কর্মীকে আটকের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আইনজীবীরা তাকে ছাড়িয়ে নেন। এরপরও সিএমএম আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরাও মিছিল নিয়ে সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইনজীবীদের বিক্ষোভ চলছিল।