সংকটের বিস্তীর্ণ কাঁটাবন পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন রিকশাওয়ালাও রিজার্ভের কথা বলে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখনো রেমিট্যান্স আছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এখনো ৪০ থেকে ৪২ এ আমাদের রিজার্ভ। বললাম কেন? বাংলাদেশে এখন রিকশাচালকেরাও রিজার্ভের কথা বলে। শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ফুরিয়ে গেছে। পাকিস্তানের রিজার্ভ তলানিতে। এ জন্য বাংলাদেশকে নিয়েও তারা দুঃস্বপ্ন দেখে।’
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘মানুষের কান কথা শুনে, গুজব শুনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাও হবে না, পাকিস্তানও হবে না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এটা বীরের দেশ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। সবাই শুধু ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দলটাকে সুশৃঙ্খল রাখুন। যেভাবে এগিয়ে চলছে আমরা যদি নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারি আবারও আগামী নির্বাচনে আমরা ইনশা আল্লাহ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে সব আছে। এখানে ভালো মানুষের অভাব নেই। শুধু ঐক্যটা রাখলেই হবে। ঐক্যটা থাকলে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগের বিজয় ইনশা আল্লাহ কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘অনেক তথ্য অজানা রয়ে গেছে। অনেকের ভূমিকা অজানা রয়ে গেছে। সত্যের খাতিরে ইতিহাসের এ সব তথ্য উন্মোচন করা দরকার। মাননীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন কমিশন গঠন করবেন। শুধু মুখে নয়, আমি বলবো বাস্তবে এর কার্যকারিতা বাংলার মানুষ দেখতে চায়। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্যময় আরও পুরুষ আছে। যাদের জাতি চেনে না। কিন্তু চেনা মুখ। সত্য জানা উচিত। সত্যের মুখোমুখি আমরা। সত্য আমাদের জানতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা! আমার মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি কেন নিষিদ্ধ হয়? সর্বকালের সেরা ভাষণের একটি আমার বাংলার বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কেন নিষিদ্ধ হয়? বাংলাদেশ বেতার কেন রেডিও বাংলা হয়? মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ স্বাধীনতার সব আদর্শ নির্বাসনে পাঠাল কে? ইতিহাস কী তাকে ক্ষমা করবে? ক্ষমা কী করা যায় এই বিশ্বাস ঘাতককে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বলেছেন, তারা সমাবেশ করুক, জনসভা করুক কোনো বাধা আমরা দেব না। নেত্রী আপনার এ উদারতার অর্থ আমরা বুঝি। তারা তো সেটা বুঝে না। তারা বলে, বিদেশিদের চাপে আপনি এটা করছেন। তারা এটা বোঝে না। লন্ডন থেকে স্লোগান দেয় আর স্লোগানের প্রতিধ্বনি হয় পল্টনে। কী স্লোগান? টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক করে কোথায় যাবে? লুটপাটের হওয়া ভবনের বাংলাদেশ। পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বাংলাদেশ।’
কাদের বলেন, ‘টেক ব্যাক করে কোথায় যাবে? মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিসর্জনের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ কী আমরা চাই? এই বাংলাদেশ তারা (বিএনপি) চায় না। তোমরা এ কথা বলছ আর নিউ ইয়র্ক টাইমস কী বলছে? নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, লুক টু বাংলাদেশ, লুক টু শেখ হাসিনা। আর তারা বলছে, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। বলুক।’