বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি)-এর ১৮তম সাধারণ সভা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনএসিডব্লিউসি’র ২১ জন সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী হতে সর্বমোট ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র বর্তমান কাজগুলো পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি) কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে দেশে রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানি ও ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে রাসায়নিক দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কার্যকরী রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ ও সিডব্লিউসি বাস্তবায়নের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় নীতিমালা ও কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সভায় আলোচনা করা হয়। দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির (Capacity Building) ব্যাপারে চেয়ারম্যান গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে সিডব্লিউসি কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের জন্য এবং দেশে রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা আরো সুসংহতকরণের জন্য ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইন, ২০০৬’ এবং ‘তালিকাভুক্তিকরণ বিধিমালা, ২০১০’ কে প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী সংশোধনের নিমিত্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সবাই মত প্রকাশ করেন।
দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানি-রপ্তানিকে আরো স্বচ্ছভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি/রপ্তানির জন্য নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক বন্দর নির্ধারণ করার ব্যাপারে সভায় আলোচনা করা হয়। সবশেষে, বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।