আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভায় ‘নতুন রাষ্ট্রপতি’র মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এবার ঘটনাটা খুবই ন্যক্কারজনক হয়েছে যে, বোঝা গেল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বানান। একটা রেজ্যুলেশন নিয়ে বলা হলো যে, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যাকে মনে করেন তাকে দেবেন। মিনিমাম যে একটা ডেকোরাম আছে, একটা নির্বাচন হয়, ভোট হয়, আরও কি হয়…সব জিনিসকে পদদলিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ও আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে একটি যৌথ ঘোষণা খসড়া প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কে রাষ্ট্রপতি হলেন, না হলেন খুব বেশি পার্থক্য ভেরি করে না। রাষ্ট্রপতির ফাংশন ও ডিউটি ডিফারেন্ট, তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কতগুলো বিষয় আছে সব ব্যাপারে তার (প্রধানমন্ত্রী) কথা শুনতে হবে।
বিএনপির কাছে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের রিঅ্যাকশন দল থেকে দেবে। এই মিটিং (লিয়াজোঁ কমিটি) থেকে আমি রিঅ্যাকশন দিতে পারব না। আমাদের দলের সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পরে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এইটুকু বলতে পারি একনায়কতন্ত্রের দেশে অনেক সম্ভব অসম্ভব হতে পারে, আবার অনেক অসম্ভব সম্ভব হতে পারে।
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে অংশ নেয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাম কাইয়ুম। আর বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।