দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি আনতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই সাক্ষাতেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন তারিখের সম্মতি নিয়ে আসবেন তারা। এর আগে সাক্ষাতের তারিখ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নির্ধারণ করেছে রাষ্ট্রপতির দপ্তর।
ইসি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করার দীর্ঘদিনের রীতি রয়েছে। এরপরেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন সিইসি। সিইসি’র ভাষণও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
‘রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করবেন ইসি। রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবেন। তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। এ সংক্রান্ত কমিশন সভা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।’
সচিব জানান, এরইমধ্যে কমিশন বারবার বলেছেন, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন তফসিল হতে পারে। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯০ দিনের গণনা শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। মোট ভোটারের মধ্যে নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন, পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।