যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রাশিয়া কি ধরনের সরঞ্জাম চাইছে তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেছেন। চীনের কাছে সহায়তা চাওয়ার কারণে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া চীনের কাছে সরঞ্জাম চেয়ে অনুরোধ করে আসছে। যদিও বিস্তারিত তেমন কিছু বলা হয়নি এতে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ মার্চ) মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রোমে চীনা পররাষ্ট্র নীতির শীর্ষ কর্মকর্তা ইয়াং জিচির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সতর্কবার্তা এলো।
ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেইজিং দীর্ঘদিনের মিত্র মস্কোর প্রতি জোরালো সমর্থন প্রকাশ করেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো সামরিক বা অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে এমন তথ্য জানা যায়নি।
রোববার (১৩ মার্চ) এনবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাক সুলিভান বলেন যে, চীন বা অন্য কোনো দেশ যাতে রাশিয়াকে তার অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, পুতিন ইউরোপীয়সহ অন্যান্যদের যেমন মিথ্যা বলেছেন ঠিক চীনকেও মিথ্যা বলেছেন।
জ্যাক সুলিভান আরও বলেন যে চীন সচেতন ছিল যে রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের আগে ‘কিছু পরিকল্পনা’ করেছিলেন। কিন্তু বেইজিং সেটি পুরোপুরি বুঝতে পারেনি।
এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা রাশিয়ার এই অনুরোধ সম্পর্কে অবগত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াই গড়িয়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। অন্যদিকে হার মানতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।