সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতায় ৫০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া। কিয়েভের কর্মকর্তারা এটিকে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ২৩০ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। বিনিময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ২৪৮ রাশিয়ানকে মুক্তি দেয়। গত আগস্টের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এটিই প্রথম বড় কোনও বন্দি বিনিময়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের লোকেরা বাড়িতে রয়েছে। আজ আমরা রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ২০০ জনেরও বেশি যোদ্ধা এবং বেসামরিক নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছি।’
ইউক্রেন বলেছে, তাদের মুক্ত করা সৈন্যদের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের পাথুরে দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের সাতজন যোদ্ধাও রয়েছে। স্নেক আইল্যান্ড রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। মূলত সেখানে অবস্থানরত একজন সীমান্তরক্ষী রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ মোসভকার কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে। এরপরই তাদের বীরত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে চেরনোবিল অঞ্চলে বন্দি হওয়া ন্যাশনাল গার্ডসের সদস্য এবং মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের যুদ্ধের সময় আটক সৈন্যরাও রয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্দি বিনিময়ের এই আলোচনা ‘কঠিন’ ছিল। উভয় পক্ষই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করেন পুতিন। গত ২৩ মাসের যুদ্ধে এর আগেও কয়েক বার বন্দি বিনিময় করেছে দুই দেশ।
গত মাসে ইউক্রেন জানায়, তারা ৪৮ দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ জনকে মুক্ত করেছে।