রামুর দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সেগুলো তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার এবং অস্ত্র তৈরির চার কারিগরকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার ভোরে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি পাহাড়ে ওই অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের বিষয় টের পেয়ে কারখানার মালিক ও অস্ত্র তৈরির প্রধান কারিগর মনিউল হক পালিয়ে গেছেন বলে র্যাব জানায়।
আটকরা হলেন সাহাব উদ্দিন, জাফর আলম, লাল মিয়া ও মাঈন উদ্দিন। তারা ঈদগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঈদগড়ের গহিন পাহাড়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কারখানা গড়ে তুলে দীর্ঘদিন অস্ত্র তৈরি করে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র্যাবের একটি দল অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার ভোর ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকার পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় কারখানায় থাকা দুই কারিগরকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরও দুই কারিগরকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সাজ্জাদ জানান, কারখানা থেকে দেশীয় ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের গুলি, ১২টি কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাহাড়ে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারখানাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটকরা আরও কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। সেখানে আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।