শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোররাতে সদর থানার একটি বিশেষ টিম তাকে উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কামরুলকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা সদর থানা হেফাজতে রয়েছে এবং শিগগিরই তাকে রামপুরা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা কামরুল জানায়, বৃহস্পতিবার এসএসসি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষে সে ল্যাপটপ মেরামতের উদ্দেশ্যে এলিফ্যান্ট রোডে যাচ্ছিল। কিন্তু মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে একটি অজানা স্থানে দেখতে পায়, যেখানে তাকে মারধরও করা হয়।
কামরুল আরও জানায়, দুর্বৃত্তদের হাত থেকে কোনোভাবে পালিয়ে সে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট এলাকায় পৌঁছে একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ভুক্তভোগীর বাবা হারুণ-অর-রশিদ ঢাকা পোস্টকে জানান, অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তিনি ২৬ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এরপর তিনি রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সহযোগিতায় খোঁজ চালান।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত ছেলের ফোন পেয়ে সাতক্ষীরায় এসে তাকে ফিরে পেয়েছি।
উল্লেখ্য, কামরুল রাজধানীর খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং তার বাসা পূর্ব রামপুরার সালামবাগ মসজিদ এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।