রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অর্জন করা কঠিন। অর্থনীতিকে সচল রাখতে সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে চলমান ৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর আবারও যদি নতুন করে হরতাল-অবরোধ দেওয়া হলে, প্রতিবাদ করবেন বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা ।
রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা।
দেশের বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা, উইমেন ও মেট্রোপলিটন চেম্বারগুলোর নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কোন ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা চান না।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরসহ যেকোনো সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান বিভিন্ন জেলা চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।
যেকোনো সহিংস কর্মসূচিতে সবার আগে ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা, এমন দাবি করে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, আমরা হরতাল, অবরোধ চাই না। চলমান ৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর আবারও যদি নতুন করে হরতাল বা অবরোধ দেওয়া হলে, এর প্রতিবাদে এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে সারাদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। সারা দেশের জেলা চেম্বারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এফবিসিসিআইকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
অতীতে সব সংকটে ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আজ একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। এবারও ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবেন বলে জানান এফবিসিসিআইয়ের আরেক সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন।
মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান ও সাবেক পরিচালকবৃন্দ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রংপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, পটুয়াখালী উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য চেম্বারের নেতারা।