শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন কারিকুলাম নিয়ে ঘোর বিরোধিতায় নেমেছেন এক শ্রেণির মানুষ। সামনে নির্বাচন, রাজনৈতিক বিরোধিতা হিসেবে তারা এখন পাঠ্যপুস্তকের পেছনে লেগে এটিকে বির্তকিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ-২০২২ বিষয়ে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন নতুন কারিকুলাম নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও উদ্বোধন করা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন বা সংস্কার নয় রূপান্তরের প্রয়োজন, আমরা সেটি করেছি। বহু দেশ এখানো সেটি করতে পারেনি। আমাদের শিক্ষকরা চাম্পিয়ন অব চেঞ্জ। তারা নতুন কারিকুলাম নিয়ে সফল হবেন। করোনার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রেখে তারা সেটি প্রমাণ করেছেন। আমরা চাই বাচ্চারা প্রশ্ন করে করে শিখবে, সেভাবে তাদের গড়ে তোলা হবে। নতুন পাঠ্যক্রম সেভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন তাই রাজনৈতিক বিরোধিতা হিসেবে পাঠ্যপুস্তককে তারা বেছে নিয়েছে। বর্তমানে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাচ্চারা যেন বুঝে-শুনে শিখতে না পারে সেই অপচেষ্টা চলছে। সাংবাদিকরা আমাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। তাদের নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে কখনো কখনো আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, নম্বর বেশি পাওয়ার প্রতিযোগিতার বদলে শেখার প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। যত কিছুতেই ভালো করা হোক শিক্ষায় ভালো করতে না পারলে কিছুই হবে না। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসছে, অনেকে গালাগালি করছেন। যত প্রতিবন্ধকতা আসুক নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। পাঠ্যবইয়ে যেসব বানান ও তথ্যগত ভুল রয়েছে তা সংশোধন করা হচ্ছে। নতুন পাঠ্যবই নিয়মিত রিভিউ করা হবে। আপনারা আমাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন, আগামী এক বছর পর বাচ্চাদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে। এ জন্য শিক্ষকদের মধ্যে পরিবর্তন প্রয়োজন। নিজের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, অনেক দেশ থেকে এগিয়ে থাকলেও উদ্ভাবনা কাজে ও উন্নত চিন্তাভাবনা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। ধর্মের মধ্যযুগীয় চিন্তা চেতনা অনেকে ধরে রেখেছে। কোনো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলে তার আলোকে ব্যাখ্য দিয়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।