আজ (মঙ্গলবার) মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এর আগে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সদস্য আমিনুল ইসলাম, সদস্য কাওসার আহমেদ এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
সভার শুরুতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন না করলে আমরা কেউ সচিব, জজসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারতাম না। তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। একটি উচ্চবংশীয় পরিবারে বঙ্গবন্ধুর জন্ম। কিভাবে তিনি নেতা হলেন? তার এই জার্নিটা আমাদের জানা প্রয়োজন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে আমরা জানতে পারবো তিনি কিভাবে বাংলার প্রতিটি দাবি আদায়ের সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি যে মহান নেতা এতে কোনো দ্বিমত নেই।
সভাপতির বক্তব্যে কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছিলেন। তার সময়েই ১৩৯টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণেই বহির্বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে আটক রাখা হয়। যারা স্বার্থের বশবর্তী হয়ে কাজ করে,তারা চরিত্র বদলায়, এরাই বারবার ঘুরেফিরে আসছে। তাদের ভেতর মানুষের জন্য ভালোবাসা নেই।
তিনি আরও বলেন, আজকে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে আমরা দেখলাম, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নামে স্লোগান দিয়ে লাইন না মেনে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে পুস্পস্তবক অর্পণ করছে। এরাই বারবার নিজেদের চরিত্র বদলায়। দেশের কোন খারাপ সময়ে এদের পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধু সর্বদা সরকারি কর্মচারীদের সততার সাথে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানাতেন।
স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে কিছু লোক দিয়ে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াস নেন। প্রতি সেক্টরে উন্নয়নের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন। দেড় বছর পর পাঁচ সালের পরিকল্পনা করেন। ৫ বছর পর বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেন। ১৯৭২ সালে নতুন পেস্কেল গঠন করেন।