এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। দলটির নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ প্রথম বড় পরিসরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এ কারণে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জামায়াত। কয়েকমাস নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করে বেশ সুসংগঠিত হয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চট্টগ্রামেও ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিভক্তি বাড়তে থাকে। সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে রাসেল আহমেদের অনুসারীরা। এতে অভিযোগ করা হয়, কমিটিতে সম্মুখযোদ্ধাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তা ও কিশোর গ্যাংকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, তাদের নিয়ে একপক্ষীয় কমিটি দেওয়া হয়েছে। সনাতন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। নারী সহযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে কমিটি বাতিলের দাবির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সবশেষ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের লালখান বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এদিকে শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচিতে নগরজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়া জনসাধারণকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এছাড়া নগরের পাঁচলাইশ থানার ২ নম্বর গেট এলাকায় কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধীদের আরেকটি পক্ষ। এই পক্ষটি মূলত কমিটিতে যারা নেতৃত্বে এসেছেন তারা। পদযাত্রা নামে কর্মসূচিটি পালিত হচ্ছে।