বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রবেশমুখে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপি-পুলিশ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির ৯০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ৩টা ৪০ মিনিটে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. ফারুক হোসেন বলেন, আজকের কর্মসূচির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর কোনো আবেদন করেনি। ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম ও বিএনপিকে জানানো হয় আজকের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ অনুমতি না দেওয়ায় আজকের সমাবেশটি ছিল বেআইনি। যখন বিএনপি ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে গাড়িতে আগুন, গাড়ির গতিরোধ, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে তার আক্রমণ চালায়।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, এ আক্রমণে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মেহেদীসহ প্রায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর আক্রমণ ঠেকাতে ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে নিবারণের জন্য তাদের ওপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, তারা পুলিশের ৮-১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, প্রায় ২০টির মতো গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ওপর বল প্রয়োগ করা হয়। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান ও থানা পুলিশের অভিযানে ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর নয়াবাজার, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, গাবতলী ও উত্তরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের অনুমতি না নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়।