রফতানির কমপক্ষে ১০ শতাংশ বিদেশে বিনিয়োগ অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন ভারত বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আইসিসি’র উদ্যোগে ও বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আইবিসিসিআই’র সহযোগিতায় আজ থেকে শুরু হয়ে ‘আইসিসি বিমসটেক এনার্জি কনক্লেভ’ শীর্ষক এই সম্মেলন চলবে আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারত বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমাদের ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট এখনো ফ্রোজেন। আমরা বাইরে থেকে ইনভেস্টমেন্ট আনতে পারব, কিন্তু কোথাও ইনভেস্ট করতে পারব না। সেটা আমাদের এখনো বন্ধ আছে। এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক রিকুয়েস্ট করতে পেরেছি, তিনি আমাদের ফ্রুটস সিকিউরিটির জন্য আফ্রিকা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ফার্মিং করা যায় কি না, কিছু টাকা পাওয়া যায় কি না।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ডলার নিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি খুব কম। এখন তো ডলার সংকট, প্রশ্নই আসে না। সে জন্য আমরা ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার থেকে সবসময় বলেছি- অন্তত আমরা যদি ১০০ টাকার রফতানি করি, ১০ টাকা অন্তত এলাও (অনুমোদন) করা উচিত সেখানে ইনভেসমেন্ট করার জন্য। ভারত কিন্তু আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। আমরা আশা করছি, সরকার অন্তত ১০ শতাংশ ইনভেস্ট করার পারমিশন দেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে ব্যবসা-বাণিজ্য সবসময় দুই তরফা হয়। এক তরফা দিয়ে শুরু হয়। পরে উভয়ই উপকৃত হয়।তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলন সম্পর্কে জানিয়ে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের (আইসিসি) মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং বলেন, এই ব্যবসায়িক কনক্লেভের উদ্দেশ্য হলো বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশে এনার্জি ট্রেডিং এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে উন্নীত করা। এছাড়াও এটি পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করার জন্য কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত থেকে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসার ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান সত্তম রায় চৌধুরী, ডিসেন্ট হাসপাতাল চেয়ারম্যান সজল দত্ত, চার্নক হাসপাতালের এমডি ইশান্ত শার্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।