করোনার প্রভাব মোকাবিলায় খাতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে নস্ট্র্রো অ্যাকাউন্ট (বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রায় খোলা হিসাব) থেকে স্থানীয় এলসির দেনা শোধের সময় সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রফতানি বাণিজ্যে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে বোরবার দুটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে অনেক ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রা দেনা পরিশোধ করতে হয়। বিশেষ করে রপ্তানিকারক ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এ ধরনের এলসি খুলে থাকেন। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকে না বলে এ ধরনের দেনা পরিশোধে সংকটের মধ্যে পড়তে হয়।
এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা এনে স্থানীয় এলসির দেনা শোধের সুযোগ দিয়েছে। এ সুযোগ ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বাড়ার কারণে এর মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানিকারকদেরকে বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে পণ্য আমদানির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর মেয়াদ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল ছিল। এখন এর মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের এলসি খুলে রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবেন।
পাঁচ বছর পর বদলি : বৈদেশিক মুদ্রা লেনেদেন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। এসব দাখিল করতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তার প্রয়োজন। কিন্তু এ খাতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে এসব কাজে নিয়োজিতদের কাজের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে এসব কর্মকর্তাদেরকে তিন বছর পর পর বদলি করতে হতো। এখন বদলি করতে হবে ৫ বছর পর পর । নাম বদল : বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর নতুন নাম হবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড।