রপ্তানিকারকদের অর্থায়নের বিপরীতে বীমা সুবিধা নিতে পারবে ব্যাংক। এ জন্য রপ্তানিকারকের সম্মতি নিতে হবে। গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বীমা সুবিধার এ নির্দেশনার ফলে ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন ঝুঁকি কমবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলো পণ্য রপ্তানি বিল বৈদেশিক মুদ্রায় ডিসকাউন্ট করে। এর বিপরীতে রপ্তানিকারককে অর্থায়ন করে থাকে। এ অর্থায়ন সুরক্ষার জন্য স্থানীয় বীমা কোম্পানির ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় বীমা সুবিধা নেওয়া যাবে। ব্যাংকের নিজস্ব বিবেচনায় এবং রপ্তানিকারকদের সম্মতিতে এ ধরনের বীমা সুবিধা নিতে হবে।
রপ্তানি বিল ডিসকাউন্টিং হলো, রপ্তানির বিপরীতে সৃষ্ট বিল কম মূল্যে কিনে নেওয়া। রপ্তানি মূল্য দেশে আসার আগে ব্যাংকের কাছ থেকে রপ্তানিকারক এ-সংক্রান্ত বিল ডিসকাউন্ট বা ছাড় দিয়ে বিক্রি করেন। রপ্তানির অর্থ দেশে আসার পর ব্যাংক সেখান থেকে নিজের পাওনা সমন্বয় করে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানি বিল ডিসকাউন্টিং ছাড়াও রপ্তানিপূর্ব অর্থায়ন কিংবা নন-ফান্ডেড সুবিধার বিপরীতেও একইভাবে বীমা সুবিধা নেওয়া যাবে। তবে বীমা সুবিধার আওতায় থাকা রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসন থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। বিদ্যমান নিয়মে পণ্য জাহাজীকরণের ১২০ দিনের মধ্যে অর্থ দেশে আনা নিশ্চিত করতে হবে।