জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া একজন শিক্ষককে কেন স্থায়ীভাবে এবং অপর একজন শিক্ষককে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবেনা সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে হবে। বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবেনা সেই কারণ এবং ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মানিক মুন্সীকে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবেনা সেই কারণ দর্শাতে হবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে এসব বিষয় জানান সিন্ডিকেট সচিব ও জবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জবির গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মানিক মুন্সীকে সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।