সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে চালিত এক গ্রামের সন্ধান মিলেছে। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এক গ্রাম শড়াতলা। যেখানে গত একমাস আগে সমাজপতিরা আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছে এই গ্রামে এখন থেকে কোনো অনুষ্ঠানেই আর কোনো বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হকার ও তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শড়াতলা পশ্চিমপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি এনামুল হক অবশ্য দাবি করেছেন, গ্রাম্য হানাহানি-মারামারি, সহিংসতা দূর ও উঠতি বয়সী তরুণদের পড়াশুনায় মনোনিবেশ করানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
ফলসী ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তৌহিদুর রহমান দাবি করেন, এ ব্যাপারে বেশিরভাগ গ্রামবাসীই একমত। সবার মতামতের ভিত্তিতে এটি করা হয়েছে। এখানে কমিটিতে ২০ জন সদস্য আছে। তার মধ্যে মসজিদ কমিটির সভাপতি, শিক্ষক, কৃষক, মোয়াজ্জিন, ইমাম সবাই আছেন।
হরিণাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি. এম. তারিক-উজ-জামান জানান, বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কিন্তু কারা আমার নাম উল্লেখ করে এমন সিদ্ধান্ত নিল তা অবশ্যই যাচাই বাছাই করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, শড়াতলা গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে ভোটার রয়েছে প্রায় ১৫শ ।